লাল কেল্লা

লাল কেল্লা নির্মাণকারী

সম্রাট শাহজাহান সপ্তদশ শতাব্দীতে লালকেল্লা নির্মাণ করেন। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই লালকেলে ছিল মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী। ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে পরাজিত করে রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তর করেন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত একটি ব্রিটিশ সরকারের একটি সামরিক গ্রাম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। 

লাল কেল্লা
লাল কেল্লা

বর্তমানে এটি কি অবস্থায় আছেঃ

বর্তমানে এটি একটি ভারতীয় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং  ভারতীয়  সার্বভৌমত্বের শক্তিশালী প্রতীক। প্রতিবছর ভারতীয় সরকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাহোরি গেট সংলগ্ন স্থানে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ইউনেস্কো লাল কেল্লা কে ২০০৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন।

কেন লাল কেল্লা নাম হলঃ

এই লালকেল্লা এক সময় লাল ছিলনা সেটেছিল ধবধবে সাদা একটি কেল্লা। ১৬৪৮ সালে সম্রাট শাহজাহান এই কেল্লা নির্মাণ করেন। 

লাল কেল্লা
লাল কেল্লা

এই কেলানি নির্মাণ করা হয়েছিল সাদা চুনা পাথর দিয়ে।  যার কারণে খেলাটি ছিল ধবধবে সাদা। তখন  কেল্লার নাম ছিল  কিলা এ মোবারক। ওস্তাদ আহমেদ এবং ওস্তাদ  হামিদ এ কেল্লার প্রধান কারিগর। এই কেল্লা নির্মাণ করতে দশ বছর সময় লেগেছিল। ব্রিটিশ আমলে কেল্লার চুনা পাথর ভেঙ্গে পড়তে শুরু করলে ব্রিটিশরা এর সংস্কার করেন এবং এর গায়ে লাল রং করে দেন।  যার কারণে কেল্লার রং এবং নাম দুটিই পরিবর্তন হয়ে যায়।   ব্রিটিশরা এর নাম রাখেন লালবাগ কেল্লা। বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরাটি সম্রাট শাহজাহানের সিংহাসনে বসানো ছিল।  এটি তিনি নাদির শাহ কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন।

লাল কেল্লা
লাল কেল্লা

কোহিনুর হীরা ছাড়াও সম্পর্কের সিংহাসনে ছিল হীরা, চুনি, পান্না এবং মুক্তার অপূর্ব সুন্দর নকশা করা যা তখনকার সময়ে ছিল নকশার এক অমূল্য সম্পদ। ব্রিটিশরা এই কোহিনুর শিরা লুট করে নিয়ে যায় এবং রানীর  মুকুটে সেটি বসিয়ে দেয়। লালকেল্লার স্থাপত্য সৌন্দর্য  মুঘলদের রুচি ও অভিজাত্যের পরিচয় বহন করে। লালকেল্লা দেখে মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। লালকেল্লার দক্ষিণ আছে জেনানা বা মহিলাদের বাসস্থান। ছোট  কক্ষ নাম মুমতাজ মহল এবং বড়  কক্ষটির নাম রংমহল।

লাল কেল্লা
লাল কেল্লা

এই রংমহলের সিলিং চাকচিকময়অলংকার এবং নোহর ই বেহেস্ত জল ধারাটির জন্য বিখ্যাত। এখানে সম্রাট শাহজাহান বেগমদের সাথে দেখা করার জন্য আসতেন।

লাল কেল্লা রবিার বন্ধ থাকে এবং সরকারি বিশেষ ছুটির দিনেও বন্ধ থাকে।

তাজমহল

 

Leave a Comment